কাদা ও ঘোলা পানির বন্যা (Flash Flood)
আমাদের দেশে প্রচুর নদীনালা আছে আর এজন্যই আমরা বন্যার সাথে পরিচিত। প্রায় প্রতি বছরই আমাদের দেশে ছোট বা বড় বন্যা হয়। বন্যার পানি যখন ভুমির উপর দিয়ে বয়ে যায়, তখন মাটির উপরের ময়লা আবর্জনা, ভেঙে যাওয়া গাছপালা পানির উপর ভেসে উঠে। তাছাড়াও, পানিতে স্রোত থাকার ফলে পানি কাদাটে ও ময়লাযুক্ত হয়। বন্যার পানি যখন নেমে যায় তখন ভুমির উপর পলি মাটির আস্তরণ পরে, যা মাটিকে উর্বর করে। কোরআনেও (১৩:১৭) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
١٧ أَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌ بِقَدَرِهَا فَاحْتَمَلَ السَّيْلُ زَبَدًا رَابِيًا ۚ وَمِمَّا يُوقِدُونَ عَلَيْهِ فِي النَّارِ ابْتِغَاءَ حِلْيَةٍ أَوْ مَتَاعٍ زَبَدٌ مِثْلُهُ ۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ اللَّهُ الْحَقَّ وَالْبَاطِلَ ۚ فَأَمَّا الزَّبَدُ فَيَذْهَبُ جُفَاءً ۖ وَأَمَّا مَا يَنْفَعُ النَّاسَ فَيَمْكُثُ فِي الْأَرْضِ ۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ
অর্থঃ আল্লাহ তায়ালা আসমান থেকে পানি বর্ষন করলেন, এরপর (নদীনালা ও তার) উপত্যকাসমুহ তাদের নিজ নিজ পরিমান অনুযায়ী প্লাবিত হল, অতপর এ প্লাবন (আবর্জনার) ফেনা বহন করে উপরে নিয়ে এল, আবার যারা অলংকার ও যন্ত্রপাতি বানানোর জন্যে ধাতুকে আগুনে উত্তপ্ত করে, তখনও কিন্তু এক ধরণের আবর্জনা ফেনা হয়ে উপরে উঠে আসে; এভাবেই আল্লাহ হক ও বাতিলের উদাহরন দিয়ে থাকেন, অতপর আবর্জনার ফেনা এমনিই বিফলে চলে যায়, এবং (পানি-) যা মানুষের প্রচুর উপকারে আসে তা যমীনেই থেকে যায়; আল্লাহ তায়ালা এভাবেই মানুষদের জন্য সুন্দর দৃষ্টান্তসমুহ পেশ করে থাকেন।
He sends down water from the sky, and riverbeds flow according to their capacity. The current carries swelling froth and from what they burn for fire to make ornaments or utensils comes a similar froth. Thus Allah exemplifies truth and falsehood. As for the froth, it is swept away, but what benefits the people remains in the ground. Thus Allah presents the analogies.
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে মরুভূমির দেশেও থেকেও বন্যায় ময়লার ফেনা ভেসে উঠার কথা জানলেন? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।