কাজ (Work)
বল প্রয়োগের ফলে কোন বস্তুর সরণ ঘটলেই তাকে কাজ বলে। বল এবং সরনের গুণফলই হল কাজ। কাজকে W, বলকে F এবং সরণকে S দ্বারা প্রকাশ করলে কাজের সমীকরণটি হয়, W = F S
আবার অন্যদিকে, বল হল ভর এবং ত্বরণের গুণফল। বলকে F, ভরকে M এবং ত্বরণকে A দ্বারা প্রকাশ করলে, বলের সমীকরণটি দ্বারায়, F = M A
F = M A সমীকরণটি W = F S সমীকরনে বসিয়ে পাই,
W = (M A) S
অর্থ্যাৎ, কাজ = ( ভর X ত্বরণ) X সরণ …………………………(১)
উপরের (১) নং সমীকরন থেকে বলা যায় কাজ ভরের উপর নির্ভরশীল, ত্বরণের উপর নির্ভরশীল এবং সরণের উপরও নির্ভরশীল। আবার, কোরআনেও (৯৯:৭-৮) কাজের উদাহরন দিতে গিয়ে পরোক্ষভাবে বলা হয়েছে, কাজ কোন বস্তুর ভরের উপর নির্ভরশীল।
٧ فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ٨ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
অর্থঃ অতএব যে ব্যক্তি এক অনু পরিমান কোন ভাল কাজ করবে সেদিন তাও সে দেখতে পাবে। ঠিক তেমনি কোন মানুষ যদি অনু পরিমান খারাপ কাজও করে, তাও সে সেদিন তার চোখের সামনে দেখতে পাবে।
Whoever does work of an atom’s weight of good will see it. And whoever does work of an atom’s weight of evil will see it.
আরবিতে ‘ইয়া’মাল’ শব্দের অর্থ কাজ। উপরের আয়াতে দেখা যাচ্ছে ‘অনু পরিমান’ ভরের সাথে ভাল মন্দ কাজের পরিনামের তুলনা করা হচ্ছে। এখানে অন্য কিছুর তুলনাও করা হতে পারত। কিন্তু কোরআন তুলনা করার ক্ষেত্রেও সম্পুর্ন সঠিক। সত্যি অবাক হবার বিষয়।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে তুলনা দিতে গিয়েও এতো সঠিক ছিলেন? তিনি কি ঐ আমলে ভরের সাথে কাজের যে সম্পর্ক আছে তা জানতেন এবং এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।