অন্তঃকর্ন (Inner Ear)

অন্তঃকর্ন (Inner Ear)

অন্তঃকর্ন (Inner Ear)

কানের তিনটি অংশ। বহিঃ কর্ন, মধ্য কর্ন এবং অন্তঃ কর্ন। আগের দিনে মানুষ ভাবত কানের কাজ শুধু শোনা। কিন্তু এখন আমরা জানতে পেরেছি কানের আর একটি কাজ হল শরীরের ভারসাম্য রক্ষা। আর এই কাজটি করে অন্তঃকর্ন। কান দুইভাবে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। একভাবে অভিকর্ষ বলের কারণে আমরা যেন ডানে বা বামে হেলে না পরি, কান সেই ভারসাম্য রক্ষা করে। আর অন্যভাবে কান আমাদের গতি ও ত্বরণ জনিত ভারসাম্য রক্ষা করে।

এ বিষয়ে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে কোরআনে (১৮:১১) উল্লেখ করা হয়েছে,

فَضَرَبْنَا عَلَى آَذَانِهِمْ فِي الْكَهْفِ سِنِينَ عَدَدًا (11)

অর্থঃ অতপর আমি গুহার ভিতরে তাদের কানে বহু বছর ধরে (ঘুমের) পর্দা লাগিয়ে রাখলাম।

Then We (Allah is one and only) hit on their ears in the cave for a number of years.

উপরের আয়াতে ‘ফাদারাবনা আলা আযানিহিম’ শব্দের অর্থ কানে আঘাত করা। যদি কেউ ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে আপনি তাকে জোড়ে ডাকলে তিনি জেগে যাবেন। কিন্তু কেউ যদি অন্তঃকর্নে আঘাত পেয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তাহলে আপনি তাকে জাগাতে পারবেননা। দেখলে মনে করবেন, আঘাত প্রাপ্ত ব্যক্তিটি জেগে আছে। কিন্তু আসলে সে আঘাতের কারণে ঘুমিয়ে আছে কিন্তু তার চোখ খোলা। আপনি জোড়ে জোড়ে ডেকে বা তাকে ঝাঁকুনি দিয়েও জাগাতে পারবেন না। আপনারা বক্সিং বা কুস্তি খেলায় দেখবেন কেউ কানে আঘাতের কারণে মেঝেতে পরে গেলে রেফারী তার কানের কাছে শব্দ করে তাকে জাগানোর চেষ্টা করে। দেখে মনে হয় খেলোয়াড়টি জেগে আছে কিন্তু আসলে তার কোন ভারসাম্য থাকেনা এবং সে কিছু শুনতেও পায়না।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন কানের সাথে ভারসাম্য রক্ষার বা জেগে থাকা বা ঘুমিয়ে থাকার সম্পর্ক আছে? তিনি কি এ বিষয়েরউপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *