অনু (Atoms)

Atom

অনু (Atoms)

যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক হল অনু। অনুকে ভাঙলে পুরমানু পাওয়া যায়। পরমানুকে ভাঙলে আবার ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন পাওয়া যায়। যার মধ্যে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে পরমানুর কেন্দ্রে এবং ইলেকট্রনগুলো ঐ কেন্দ্রের চারিদিকে ঘুরে। প্রোটন ও নিউট্রনগুলো কোয়ার্ক দিয়ে তৈরী। ঐ কোয়ার্কগুলো আবার ছোট ছোট কম্পমান সূতা দিয়ে তৈরী। এই কম্পমান সূতাকেই বলে স্ট্রিং। স্ট্রিং থিউরী অনুযায়ী ঐ সূতাগুলোর কম্পনই পরমানুর ভর নির্ধারন করে। আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে মানুষ ভাবত পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক হল অনু। এখন আমরা জানি, অনুকে ভাঙলে পরমানু, পরমানুকে ভাঙলে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন পাওয়া যায়। প্রোটন ও নিউট্রনকে ভাঙলে আবার পাওয়া যায় কম্পমান সূতা বা স্ট্রিং। কোরআনে (১০:৬১) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

٦١  وَمَا تَكُونُ فِي شَأْنٍ وَمَا تَتْلُو مِنْهُ مِنْ قُرْآنٍ وَلَا تَعْمَلُونَ مِنْ عَمَلٍ إِلَّا كُنَّا عَلَيْكُمْ شُهُودًا إِذْ تُفِيضُونَ فِيهِ ۚ وَمَا يَعْزُبُ عَنْ رَبِّكَ مِنْ مِثْقَالِ ذَرَّةٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَلَا أَصْغَرَ مِنْ ذَٰلِكَ وَلَا أَكْبَرَ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُبِينٍ

অর্থঃ (হে নবী) তুমি যে কাজেই থাকনা কেন এবং সে (কাজ) সম্পর্কে কোরআন থেকে যা কিছু তলাওয়াত করোনা কেন (তা আমি জানি, হে মানুষেরা) তোমরা যে কোন কাজ করো, কোন কাজে তোমরা যখন প্রবৃত্ত হও, আমি তার ব্যপারে তোমাদের উপর সাক্ষী হয়ে থাকি, তোমার মালিকের দৃষ্টি থেকে একটি অনু পরিমান জিনিষও গোপন থাকেনা, আসমানে ও যমীনে এর চাইতে ছোট কিংবা এর চাইতে বড় কোন কিছুই নেই যা এ সুস্পষ্ট গ্রন্থে লিপিবদ্ধ নেই।

Whatever you may be doing, and whatever portion you may be reciting from the Quran, and whatever deed you may be doing, We [Allah is one and only] do witness when you are doing it. And nothing is hidden from your Lord (so much as) the weight of an atom on Earth nor in heaven, not less than that nor more but is (written) in a clear record (on the Preserved Tablet).

 

উপরের আয়াত থেকে বুঝা যায়, অনু থেকেও ছোট কিছুর অস্তিত্ব থাকতে পারে। অন্য একটি আয়াতে (৪:৪৯) কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে,

٤٩  أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنْفُسَهُمْ ۚ بَلِ اللَّهُ يُزَكِّي مَنْ يَشَاءُ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلًا

অর্থঃ হে নবী তুমি কি তাদের অবস্থা দেখনি, যারা নিজেদের খুব পবিত্র মনে করে অথচ আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা তাকেই পবিত্র করেন, এবং সেদিন তাদের উপর একবিন্দু (এক সূতা) পরিমাণও যুলুম করা হবেনা।

Have you not considered those who claim purity for themselves? Rather, Allah purifies whom He wills, and they will not be wronged by a wick.

উপরের আয়াতে ‘ফাতিল’ শব্দের অর্থ হল এক সূতা। অনেকটা স্ট্রিং থিউরীর সাথে মিলে যায়। স্ট্রিং থিউরী অনুযায়ী পরমানুর কেন্দ্রে সূতা থাকে এবং সে সুতার কম্পনই পরমানুর ভর নির্ধারন করে। আল্লাহর হিসাব এতই সুক্ষ যে তাতে সুতা পরিমান হিসাবও এদিক সেদিক হবেনা।

অন্য একটি আয়াতে (৪:১২৪) উল্লেখ করা হয়েছে,

١٢٤  وَمَنْ يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَٰئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا

অর্থঃ পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজ করবে- নর কিংবা নারী, সে যদি ঈমানদার অবস্থায়ই তা সম্পাদন করে, তাহলে সে এবং তার মত সব লোক অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে, পুরষ্কার দেয়ার সময় তাদের ওপর বিন্দুমাত্র ও অবিচার করা হবেনা।

But whoever works righteousness, whether male or female, and is a believer, those will enter Paradise, and will not be wronged by a pluck.

উপরের আয়াতে ‘নিকির’ অর্থ সুক্ষ সুতার একটি কম্পন। একে বিন্দুর সাথেও তুলনা করা যায়। এই আয়াত থেকেও অনেকটা স্ট্রিং থিউরীর সাথে মিলে যায়। স্ট্রিং থিউরী অনুযায়ী পরমানুর কেন্দ্রে সূতা থাকে এবং সে সুতার কম্পনই পরমানুর ভর নির্ধারন করে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন অনুর থেকেও ছোট কনিকা থাকতে পারে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *