বিশুদ্ধপানি (Fresh water):
পৃথিবিতে যত পানি আছে তার প্রায় ৯৭ % ভাগই লবণাক্ত পানি। সাগরের পানি লবনাক্ত। বাকী যে ৩% পানি আছে তার মধ্যে ২.৫০ থেকে ২.৭৫ ভাগ পানিই বিশুদ্ধ পানি, যা আমরা খাবার জন্য ব্যবহার করি। ১.৭৫ থেকে ২% পানি ঠাণ্ডা বরফ হিসেবে পৃথিবীর দুই মেরু এবং বিভিন্ন পর্বতের চূড়ায় জমা অবস্থায় আছে। । আর ০.৫ থেকে ০.৭৫% পানি মাটির নিচে এবং মাটির সাথে মিশ্রিত অবস্থায় আছে। এবং ০.০১% এর থেকেও কম পরিমান পানি বিভিন্ন খালবিল এবং নদীনালায় আছে। সাগরের পানি যখন বাষ্প হয়ে উপরে উঠে যায়, তখন পানি বাষ্প হয় ঠিকই কিন্তু লবণ বাষ্প হয়না। লবণ সাগরেই থেকে যায়। পরবর্তীতে এই বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে বিভিন্ন পর্বতের চুড়া এবং দুই মেরুতে বরফ হিসেবে জমে।
লবণ সাগরেই থেকে যায় কিন্তু পানি বাস্প হয়ে পর্বতের চূড়ায় ঠাণ্ডা হয়ে বরফে পরিণত হয়। পর্বতের চুড়ার বরফের পানিতে লবণ নেই। সেই পানি বিশুদ্ধ এবং খাবার উপযুক্ত। কোরআনে (৭৭:২৭) এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে,
٢٧ وَجَعَلْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ شَامِخَاتٍ وَأَسْقَيْنَاكُمْ مَاءً فُرَاتًا
অর্থঃ আমি তাতে উচু উচু পর্বতমালা সৃষ্টি করে রেখেছি এবং তোমাদের আমি সুপেয় পানি পান করিয়েছি।
And set on it lofty mountains, and given you fresh water to drink?
এখানে পর্বত সৃষ্টির পরপরই সুপেয় পানির কথা বলা হচ্ছে। এখানে ‘ফুরাতা’ শব্দের অর্থ হল সুপেয়। অর্থ্যাৎ এই পানিতে লবণ নেই।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে মরুভুমিতে থেকেও জানলেন যে পর্বতের উপরের পানি সুপেয়? তিনি কি গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।