মাছি (House fly)
মাছিরা কখনও পিপড়ার মত কোন শক্ত খাদ্য বহন করে নিয়ে যেতে পারেনা। তারা কেবল তাদের মুখের চোষক দিয়ে তরল জাতীয় খাবার শুষে নিতে পারে। পরিবেশের বাস্তুসংস্থান বিষয়ক ভারসাম্য রক্ষায় মাছির অনেক ভূমিকা আছে। বিভিন্ন জৈব খাবার ভেঙে ও পচিয়ে দিতে মাছিদের ভূমিকা আছে। মাছিরা সাধারণত বিভিন্ন পশুপাখির মলমূত্র খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। তারা দুধ, মিষ্টি জাতীয় খাবার, পচে যাওয়া ফলমূল এবং শাকসবজিও খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। মাছি প্রথমে মুখের লালা দিয়ে শক্ত খাবার গুলোকে নরম করে এবং তরল করে। তারপর শোষক দিয়ে ঐ তরল শুষে নেয়। মানুষের ক্ষেত্রে খাবার পেটে যাবার পর হজম হয়। কিন্তু, মাছিদের মুখের লালায় এমন এক ধরণের এনজাইম থাকে, যা খাদ্যকে পেটে পৌছানোর আগেই হজম উপযোগী করে তোলে। অতপর মাছি শুধু চোষক দিয়ে তরল জাতীয় খাবার শুষে নেয়। পবিত্র কোরআনে (২২:৭৩) এ বিষয়ে উল্লেখ আছে,
٧٣ يَا أَيُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُوا لَهُ ۚ إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَنْ يَخْلُقُوا ذُبَابًا وَلَوِ اجْتَمَعُوا لَهُ ۖ وَإِنْ يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْئًا لَا يَسْتَنْقِذُوهُ مِنْهُ ۚ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالْمَطْلُوبُ
অর্থঃ হে মানুষ, (তোমাদের জন্য এখানে) একটি উদাহরণ পেশ করা হচ্ছে, কান পেতে তা শোন; আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের ডাক, তারা তো কখনও (ক্ষুদ্র) একটি মাছিও তৈরী করে দেখাতে পারবেনা, যদি এ (কাজের) জন্য তারা সবাই একত্রিতও হয়; (এমনকি) যদি সে (মাছি) তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায় তবে তারা তার কাছ থেকে তাও ছাড়িয়ে নিতে পারবেনা; (যাদের এতটুকু ক্ষমতা নেই) কত দুর্বল (তারা), যারা (এদের কাছে সাহায্য) প্রার্থণা করে; কত দুর্বল তারা যাদের কাছে (এ সাহায্য) চাওয়া হচ্ছে।
O people! A parable is presented, so listen to it: Those you invoke besides Allah will never create a housefly, even if they banded together for that purpose. And if the housefly steals anything from them, they cannot recover it from it. Weak are the pursuer and the pursued.
উপরের আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি, মাছির ছিনিয়ে নেয়া খাবার কখনই শক্ত অবস্থায় থাকেনা কারণ মাছি চোষক যন্ত্রের মাধ্যমে শুষে নেয়। আর সেই খাবার আগেই এনজাইম দিয়ে হজম হয়, তারপর মাছি তা শুষে নেয়। অর্থাৎ, যে খাবার মাছির পেটে যায়, তা আর আগের মত করে ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। কত নিখুঁত কোরআনের বাণী।
চোষক না হয় খালি চোখে দেখা যায় কিন্তু এনজাইম খালি চোখে দেখা যায়না। যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, তাহলে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন মাছি বিশারদ ছিলেন যিনি মাছির খাবার গ্রহণের কৌশল নিয়ে গবেষনা করে, তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।