১৯ এর গানিতিক ছন্দ (wonderful calculation of 19):
- একটু লক্ষ্য করলেই আমরা দেখব,بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِএ ১৯ টি অক্ষর আছে।
- একটু লক্ষ্য করলেই আমরা দেখব,بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বাক্যটি কোরআনে সর্বোমোট ১১৪ বার এসেছে। ১১৪ হল ১৯ এর একটি গুনিতক।
- সুরা আলাক নামে প্রথম যে সুরাটি নাযিল হয় সেখানে ১৯ টি আয়াত বা বাক্য আছে।
- সুরা আলাক নামক সুরাটিও কোরআনের পেছন দিক থেকে ১৯ নম্বর সুরা।
- সুরা আলাকে ৭৬ টি শব্দ আছে যা ১৯ এর গুণিতক।
- কোরআনে মোট ১১৪ টি সুরা আছে যা ১৯ এর গুণিতক।
- ১+২+৩+………………………………………………….+১১৪=৬৫৫৫ এবং ৬৫৫৫ কে ১৯ দ্বারা ভাগ করা যায়। অর্থাৎ, ১ থেকে শুরু করে সর্বমোট ১১৪ টি সুরার যোগফলকে ১৯ দ্বারা ভাগ করা যায়।
- কোরআনের মোট যতগুলো সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সমষ্টিকেও ১৯ দ্বারা ভাগ করা যায়।
উপরের মত ১৯ এর আরও অনেক গানিতিক ছন্দ কোরআন নিয়ে গবেষণা করলে খুঁজে পাওয়া যায়। আল্লাহ দোজখকে পাহাড়া দেয়ার জন্য ১৯ জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। আর ১৯ এর এই গানিতিক ছন্দ তিনি এজন্যই কোরআনে দিয়েছেন যেন এতে করে এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বিশ্বাসীদের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়।
কোরআনে (৭৪:৩০-৩১)আছে,
٣٠ عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَ٣١ وَمَا جَعَلْنَا أَصْحَابَ النَّارِ إِلَّا مَلَائِكَةً ۙ وَمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ إِلَّا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا لِيَسْتَيْقِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَيَزْدَادَ الَّذِينَ آمَنُوا إِيمَانًا ۙ وَلَا يَرْتَابَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَالْمُؤْمِنُونَ ۙ وَلِيَقُولَ الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ وَالْكَافِرُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلًا ۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي مَنْ يَشَاءُ ۚ وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ ۚ وَمَا هِيَ إِلَّا ذِكْرَىٰ لِلْبَشَرِ
অর্থঃ তার উপর (আছে) উনিশ। আমি ফেরেশতাদের ছাড়া দোজখের প্রহরী হিসেবে (অন্য কাউকেই) নিযুক্ত করিনি এবং তাদের সংখ্যাকে আমি অবিশ্বাসীদের জন্যে একটি পরীক্ষার মাধ্যম বানিয়ে দিয়েছি,যেন এর মাধ্যমে যার উপর আমার কেতাব নাজিল হয়েছে তারা (আমার কথায়) দৃড়ভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে এবং যারা আগে থেকেই আমার উপর ঈমান এনেছে তাদের ঈমানও এতে করে বৃদ্ধি পেটে পারে, (সর্বোপরি) এর ফলে আহলে কেতাব ও মুমিনরাও যেন কোন রকম সন্দেহে নিমজ্জিত হতে না পারে,…
30 Over it are Nineteen. 31 We have appointed only angels to be wardens of the Fire, and caused their number to be a stumbling block for those who disbelieve; so that those given the Scripture may attain certainty; and those who believe may increase in faith; and those given the Scripture and the believers may not doubt; and those in whose hearts is sickness and the unbelievers may say, “What did God intend by this parable?” Thus God leads astray whom He wills, and guides whom He wills. None knows the soldiers of your Lord except He. This is nothing but a reminder for the mortals.
বর্তমানে কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে কোরআন গবেষকরা কোরআন নিয়ে গবেষনা করতে পারছে। এবং বড় বড় সংখ্যার যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ছাড়াও বিভিন্ন গানিতিক দৃষ্টিকোণ থেকে হিসাব করে শুধু ১৯ নয় বরং আরও বিভিন্ন সংখ্যার গানিতিক ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে, যা ঐ আমলে কম্পিউটার ব্যতীত কোন মানুষের পক্ষে হিসাব করা অসম্ভব ছিল।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, রাসুল(সঃ) কিভাবে জানলেন যে, ১৯ সহ আরও বিভিন্ন সংখ্যার গানিতিক ছন্দ আছে? অথচ ঐ যুগে কোন কম্পিউটার ছিলনা? শুধু তাই নয়, সমগ্র কোরআন একবারে এবং ধারাবাহিক ভাবে (ক, খ, গ…) নাজিল হয়নি, বরং আয়াতগুলো এলোমেলো ভাবে রাসুলের জীবনকালের সমস্যা এবং ধারা অনুযায়ী নাজিল হয়েছে, কোনটা আগে আর কোনটা পরে। এবং পরবর্তীতে এগুলোকে ঘটনা অনুযায়ী এক করা হয় যা আমরা সম্পুর্ন কোরআন হিসেবে একত্রে পাই। রাসুল(সঃ) কি তাহলে গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন। অথচ তিনি ছিলেন অক্ষর জ্ঞানহীন একজন মানুষ। নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।