মানব ভ্রুণ (Human Embryo)

মানব ভ্রুণ (Human Embryo)

মানব ভ্রুণ (Human Embryo):

মায়ের পেটে সন্তান ভ্রুণ পর্যায় থেকে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করে তারপর ভুমিষ্ট হওয়ার উপযুক্ত হয়। কোরআনে এই ধাপগুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে। তখনকার সময়ে খালি চোখে এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া এই ধাপগুলো নির্নয় করা ছিল অসম্ভব। জোক যেমন কোন প্রাণীর গায়ে লেগে থাকে বা ঝুলে থাকে এবং সেখান থেকে খাদ্য হিসেবে রক্ত শুষে নেয়, ঠিক তেমনি, মানব ভ্রুণ মায়ের পেটের সাথে লেগে থাকে বা ঝুলে থাকে এবং সেখান থেকেই খাদ্য গ্রহণ করে।

কোরআনে (২৩:১৪) উল্লেখ করা হয়েছে,

١٤  ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنْشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ ۚ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ

অর্থঃ এরপর শুক্রবিন্দুকে আমি এক ফোটা জমাট রক্তে পরিণত করি, অতপর এ জমাট রক্তকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করি, (কিছুদিন পর) এই পিণ্ডকে অস্থিপাজরে পরিণত করি, তারপর (একসময়) এ অস্থি পাজরকে আমি গোশতের পোশাক পরিয়ে দেই, অতপর (বানানোর প্রক্রিয়া শেষ করে) আমি তাকে (সম্পুর্ণ) ভিন্ন এক সৃষ্টি (তথা পুর্ণাংগ মানুষ) রুপে পয়দা করি; আল্লাহ কত উত্তম সৃষ্টিকর্তা (কত নিপুন তাঁর সৃষ্টি);

Then We (Allah is one and only) developed the semen into a leech. Then We(Allah is one and only) developed the leech into a lump. Then We(Allah is one and only) developed the lump into bones. Then We(Allah is one and only)clothed the bones with flesh. Then We(Allah is one and only)produced it into another creature. Most Blessed is Allah, the Best of Creators.

উপরের চিত্রে আমরা ‘আলাকা’ বা এক ফোটা জমাট রক্ত বা জোকের মত অংশের চিত্র দেখতে পারছি। আলাকা শব্দের একটি অর্থ হল জোক। আর উপরের পর্যায়ে ভ্রুণ জোকের মত ঝুলেও থাকে এবং মায়ের শরীর থেকে খাবারও গ্রহণ করে। আর নিচের চিত্রে ‘মুদ্গা’ বা মাংসপিণ্ড বা কোন কিছু চাবানো হয়েছে এমন পর্যায়ের চিত্র দেয়া হল।‘মুদ্গা’ শব্দের অর্থ হল কিছু চাবানো হয়েছে এমন এবং এ পর্যায়ের ছবিটিও দেখতে ঠিক তেমনই। কিন্তু আজ থেকে ১৪৫০ বছর আগে খালি চোখে এবং আধুনিক যন্ত্র ছাড়া উপরের দুইটি পর্যায় সম্পর্কে জানা ছিল সম্পুর্ন অসম্ভব। অথচ কোরআনে উল্লিখিত শব্দের অর্থের সাথে ওই পর্যায়ের চিত্রের সম্পুর্ন মিল পাওয়া যায়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে জানলেন এমন স্তরগুলোর কথা, যা খালি চোখে দেখা যায়না, তিনি কি মাতৃগর্ভের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

http://www.miracles-of-quran.com/human_embryo.htm

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *