ব্যাকটেরিয়া (Bakteria):
একটি গবেষনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি, একটি মাঝারি আকৃতির জুতার তলায় প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে। পরিষ্কার মেঝেতে পা দেয়ার সাথে সাথেই প্রায় ৯০ ভাগ ব্যাকটেরিয়া জুতা থেকে মেঝেতে চলে যায়। এছাড়াও রান্নাঘরে এবং বাথরুমে কিছু কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আমাদের নানারকম অসুখ সৃষ্টি করে। খালি চোখে ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়না। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা ব্যাকটেরিয়া দেখতে পারি।
কোরআনে (২০:১২) এ বিষয়ে পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
١٢ إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ ۖ إِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমি হচ্ছি তোমার মালিক, তুমি তোমার জুতা দুটো খুলে ফেল, কেননা তুমি এখন পবিত্র ‘তুয়া’ উপত্যকায় (দাড়িয়ে) আছ।
I am your Lord. Take off your shoes. You are in the sacred valley of Tuwa.
উপরের আয়াত থেকে বোঝা যায়, মূসা নবী যদি জুতা সহ ‘তুয়া’ উপত্যকায় যেতেন তাহলে পবিত্রতা নষ্ট হত, আর এ জন্যই আল্লাহ তাকে প্রথমে জুতা খুলতে বলেছেন, তারপর পবিত্র ‘তুয়া’ উপত্যকায় প্রবেশ করতে বলেছিলেন। আর এখন আমরা অনুবীক্ষন যন্ত্র ব্যবহার করে জানতে পেরেছি, জুতা নিয়ে ঢুকলে মেঝে অপরিষ্কার হয় এবং প্রচুর ব্যকটেরিয়া স্থানান্তরিত হয় অর্থ্যাৎ পবিত্রতা নষ্ট হয় এবং এই কারণে নানারকম অসুখ ও হতে পারে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে ঐ আমলে জানলেন জুতা নিয়ে প্রবেশ করলে ব্যক্টেরিয়ার কারণে অসুখ হতে পারে বা পবিত্রতা নষ্ট হতে পারে? তিনি কি এই বিষয়ে গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।