বায়ুমণ্ডলীয় স্তর (Atmosphere)

বায়ুমণ্ডলীয় স্তর (Atmosphere)

বায়ুমণ্ডলীয় স্তর (Atmosphere):

পৃথিবীর উপরিভাগে একটি বায়ুমন্ডলীয় স্তর আছে যা পৃথিবিকে ঘিরে রেখেছে। এই বায়ুমন্ডলীয় স্তর পৃথিবীকে রক্ষা করে নানা রকম উল্কা থেকে। উল্কাপিণ্ড পৃথিবীতে প্রবেশ করার সময় এই বায়ুমন্ডলীয় স্তরের সাথে ঘর্ষনের ফলে আগুন তৈরি হয় এবং সে আগুনে উল্কা পুরে ছাই হয়ে যায়। মহাকাশ বায়ুশুন্য হওয়ায় উল্কাগুলো ঘন্টায় হাজার হাজার মাইল বেগে অক্ষত অবস্থায় ছুটে বেড়াতে পারে। কিন্তু যখনই বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে প্রবেশ করে তখনই পুড়তে থাকে এবং মাটিতে পৌঁছানোর আগেই তা জ্বলে শেষ হতে যায়।

শুধু উল্কাপিণ্ড থেকেই নয় বরং সুর্যের অতি বেগুনি রশ্মি, সৌর ঝড় এবং বিভিন্ন মহাজাগতিক বিকিরিত রশ্মি থেকেও এই বায়ুমণ্ডলীয় স্তর পৃথিবীর জীব বৈচিত্রকে রক্ষা করে। বায়ুমণ্ডলীয় স্তরটি যে পৃথিবীকে বিভিন্ন মহাজাগতিক বিকিরিত আলোক রশ্মি এবং উল্কা থেকে রক্ষা করে, তা আমরা অতি সম্প্রতি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের থেকে জানতে পেরেছি। অথচ প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই এই বিষয়ে কোরআনে (২১:৩২) উল্লেখ করা হয়েছে।

٣٢  وَجَعَلْنَا السَّمَاءَ سَقْفًا مَحْفُوظًا ۖ وَهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ

অর্থঃ আমি আকাশকে একটি সুরক্ষিত ছাদ হিসেবে তৈরি করেছি, কিন্তু এ নির্বোধ ব্যক্তিরা তার নিদর্শন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

And We (Allah is one and only) made the sky a protective shield and they turn away from its sign.

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে জানলেন আকাশের এই বায়ুমণ্ডলের স্তরের কথা, যা কিনা উল্কাপিণ্ড এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর আলোকরশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে, তিনি কি এর উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বাণী।

http://www.miracles-of-quran.com/atmosphere.htm

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *