‘পেত্রা’ একটি হারিয়ে যাওয়া শহর ( Petra a lost city)
‘পেত্রা’ একটি হারিয়ে যাওয়া শহর ( Petra a lost city): যুগে যুগে বহু জাতি এই পৃথিবীতে এসেছে আবার কালের বিবর্তনে হারিয়েও গেছে। ‘পেত্রা’ হল এমনই একটি হারিয়ে যাওয়া শহর। বহু বছর ধরে পশ্চিমা বিশ্ব এই হারিয়ে যওয়া শহরটি খুঁজে বেরিয়েছে। ‘পেত্রা’ এর লোকেরা পাহাড় কেটে কেটে নিজেদের ঘর বানাতো। উত্তপ্ত মরুভূমি, উপত্যকা এবং পাহাড়ে ঘেরা এই হারানো শহরটি বর্তমানে জর্ডানের হাসিমিট রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। ‘পেত্রা’ একসময় ‘নাবাতিন’ রাজ্যের রাজধানী এবং বানিজ্যিক শহর ছিল (খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ থেকে খ্রিস্টাব্দ ১০৬)। দীর্ঘদিন ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া এই শহরটি অবশেষে ১৮০০ সালের দিকে নতুন এক ভ্রমণকারী আবিষ্কার করেন। পুরাতত্ত্ব বিজ্ঞানীদের মতে, ‘পেত্রা’ নগরবাসী পাথর কেটে স্থাপত্য তৈরী এবং পানি সঞ্চালনের পক্রিয়ার কাজে দক্ষ ছিল।
‘নাবাতিন’ রাজ্যের বিভিন্ন পুরানো স্থাপত্য ও পুরানো বইপতত্রের অনুলিপিতে ‘আল্লাহ’ নামটি পাওয়া যায়। সেখানে উজ্জা, বাল ও মানত নামক দেবতাদের নাম ও পাওয়া যায়। ‘আল্লাহ’ নামটি পাওয়া যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সতর্ক করেছিলেন এবং অন্যান্য মিথ্যা দেবতার উপাসনা করতে নিষেধ করেছিলেন। তারা আল্লাহর সতর্কবানী পাবার পরও সাবধান হয়নি। একারণেই তারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কোরআনে বিষয়টি উল্লেখ করা আছে। কোরআনে (১৫:৮০-৮৩) আছে,
٨٠ وَلَقَدْ كَذَّبَ أَصْحَابُ الْحِجْرِ الْمُرْسَلِينَ٨١ وَآتَيْنَاهُمْ آيَاتِنَا فَكَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ٨٢ وَكَانُوا يَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا آمِنِينَ٨٣ فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ مُصْبِحِينَ
অর্থঃ (একইভাবে) ‘হেজর’বাসীরাও নবীদের আস্বীকার করেছিল, আমি আমার নিদর্শনসমুহ তাদের কাছে প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তারা পাহাড় কেটে কেটে নিজেদের জন্য ঘর বানাতো (এ আশায় যে), তারা সেখানে নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে পারবে। অতপর (না-ফরমানী জন্য একদিন) প্রত্যুষে তাদের উপর মহানাদ (উচ্চ শব্দ তরঙ্গ) এসে আঘাত হানল।
The people of the Rock also rejected the messengers. We (Allah is one and only) gave them our revelations, but they turned away from them. They used to carve homes in the mountains, feeling secure. But the Shout struck them in the morning.
পাথরকেটে যারা ঘর বানাতো তাদের কাছে সতর্কবানী এসেছিল। ফেরেস্তারা বিশাল শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করে তাদের মেরে ফেলেছিল। অর্থ্যাৎ শব্দের কারণে মানুষ গুলো মারা গেলেও ঘরবাড়ি গুলো ধ্বংস হয়নি। এ ধরণের নিদর্শন আমরা পেত্রা’ নামক একটি হারিয়ে যাওয়া শহরে দেখতে পাই।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন ইতিহাসের গবেষক ছিলেন যিনি তার পূর্বের সকল ইতিহাস নিয়ে গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।
Source: www.miracles-of-quran.com