চাঁদের প্রতিবিম্বিত আলো (Moon light)

চাঁদের প্রতিবিম্বিত আলো (Moon light):

চাঁদের প্রতিবিম্বিত আলো (Moon light):

সুর্যের নিজস্ব আলো আছে। কিন্তু চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই, আছে প্রতিবিম্বিত আলো। সুর্য থেকে ধার করা আলো দিয়েই চাঁদ আলোকিত হয়। কোরআনে সুর্যের আলো ও চাঁদের আলোর জন্য আলাদা আলদা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। মনে প্রশ্ন উঠে, এমন কেন হল? একই শব্দও তো উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে পারত।

এ বিষয়ে কোরআনে (১০:০৫) উল্লেখ আছে,

٥  هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوا عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ ۚ مَا خَلَقَ اللَّهُ ذَٰلِكَ إِلَّا بِالْحَقِّ ۚ يُفَصِّلُ الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

অর্থঃ মহান আল্লাহ যিনি সুর্যকে (প্রখর) তেজদীপ্ত (বানিয়েছেন) এবং চাঁদকে বানিয়েছেন জ্যোতির্ময়, অতপর (আকাশে) তার জন্য কিছু মনজিল তিনি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যাতে করে এ নিয়ম দ্বারা তোমরা বছরের গণনা এবং দিন তারিখের হিসাবটা জানতে পার…

It is He who made the sun radiant, and the moon a light, and determined phases for it-that you may know the number of years and the calculation.

উপরের আয়াতে সুর্যের জন্য ‘দিয়া’ বা প্রখর আলোর কথা বলা হয়েছে এবং চাঁদের জন্য ‘নুর’ বা ঠাণ্ডা আলো বা প্রতিবিম্বিত আলোর কথা বলা হয়েছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, যদি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নিজেই কোরআন রচনা করতেন তাহলে ভুল বশত তিনি সুর্য ও চন্দ্রের উভয়ের ক্ষেত্রেই একই শব্দ ব্যবহার করতেন কারণ ঐ সময় আলোর উপর এত গবেষনাও হয়নি, তাহলে,  কিভাবে গবেষনা করে এই বৈজ্ঞানিক তথ্য ঠিক রেখে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

http://www.miracles-of-quran.com/moonlight.htm

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *