হাইরোগ্লিফ -চিত্রলীপি (Hieroglyph)

moqbangla-Hieroglyph

হাইরোগ্লিফ -চিত্রলীপি (Hieroglyph)

হাইরোগ্লিফ -চিত্রলীপি (Hieroglyph):

এটি প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার এক বিশেষ লিখন পদ্ধতি যেখানে লিখার জন্য বিভিন্ন ধরণের চিত্র ব্যবহার করা হত। পঞ্চম শতকেই পাগান মন্দিরের সাথে সাথে হাইরোগ্লিফ বা চিত্রলীপি পড়ার কৌশল হারিয়ে যায়। ১৪৫০ বছর আগেও রাসুল (সঃ) এর যুগেও হাইরোগ্লিফ সম্পর্কে কেউ জানতনা। কালের বিবর্তনে এই চিত্রলীপি পড়ার কৌশল হারিয়ে যায়। ১৮২০ সালের দিকে দুইজন বিজ্ঞানী মিলে হাইরোগ্লিফ বা চিত্রলীপি পড়ে রহস্য উদ্ধারের কৌশল পুনরায় আবিষ্কার করতে সক্ষম হন।

হাইরোগ্লিফ বা চিত্রলীপি পড়ে রহস্য উদ্ধারের প্রক্রিয়া আবিষ্কার হওয়ার পর গবেষকরা জানতে পেরেছে কিভাবে প্রাচীন মিশরিওরা তাদের রাজা ফারাওদের প্রতি শোক প্রকাশ করত। পিরামিড থেকে প্রাপ্ত একটি হাইরোগ্লিফ থেকে জানা যায় কিভাবে এক মৃত ফারাও রাজা যুদ্ধ করতে চেয়েছিল স্বর্গের দেবতার সঙ্গে। ঐ হাইরোগ্লিফটিতে বলা আছে, ‘আকাশ কেঁদে উঠে, তারাগুলো কেঁপে কেঁপে উঠে, দেবতাদের রক্ষাকারীরা ভয়ে কেঁপে উঠে এবং তাদের ভৃত্যরা পালিয়ে যায় যখন তারা দেখে রাজা জেগে উঠছে দেবতার মত যিনি তার পিতার উপর বাঁচে এবং মাকে অধিকারে রাখে’। চিত্রলীপিটা বলে রাজা ফারাওদের শোকে আকাশ কেঁদে উঠেছিল, আমরা এই ঘটনাটি মাত্র কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি। কিন্তু এই ঘটনাটি যে মিথ্যা তা আমরা কোরআন থকে জানতে পারি। সত্যিকার ঘটনা প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই সুস্পষ্টভাবে কোরআনে (৪৪:২৯) উল্লেখ করা হয়েছে।

٢٩  فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنْظَرِينَ

অর্থঃ (এ ঘটনার ফলে) ওদের উপর না আসমান কোন রকম অশ্রুপাত করল- না জমিন (ওদের এ পরিনামে একটু) কাঁদল,(আযাব আসার পর) তাদের আর কোন অবকাশই দেওয়া হল না।

Neither heaven nor earth wept over them, nor were they reprieved.

হাইরোগ্লিফ বা চিত্রলীপি পড়ার কৌশল মাত্র সেদিন আবিষ্কৃত হল যার মাধ্যমে আকাশ কেঁদে উঠার অংশটুকু মিল পাওয়া যায়। হাইরোগ্লিফ বলে আকাশ কেঁদে উঠেছিল কিন্তু কোরআন বলে আকাশ এবং জমিন কোনটাই কাদেনি।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন হাইরোগ্লিফ বিশারদ ছিলেন, যিনি গবেষনা করে নকল করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? অথচ ঐ সময় হাইরোগ্লিফ পড়ার কৌশলই কেউই জানত না।আর যদি রাসুল (সঃ) নকলই করতেন তাহলে হাইরোগ্লিফ এ যা থাকত রাসুল (সঃ) হুবহু তাই লিখতেন কিন্তু তেমনটি হয়নি। হাইরোগ্লিফ বলে আকাশ কেঁদেছিল কিন্তু কোরআন বলে আকাশ কাদেনি। এ থেকেই বোঝা যায়, কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *