শিকারী পাখি (Raptors)
শিকারী পাখি (Raptors):
শিকারী পাখিরা মেরুদণ্ডী। এদের চোখের দৃষ্টি খুবই তীক্ষ্ণ। আকাশে অনেক উপর থেকে শিকারী পাখিরা ভূমিতে তাদের খাবার দেখতে পায়। এদের পায়ে আছে নখ-বিশিষ্ট শক্ত থাবা যার মাধ্যমে এরা খাবারকে ছো-মেরে শক্ত করে ধরতে পারে। খাবার ছিড়ে ফেলার জন্য এদের আছে শক্ত ঠোঁট। শিকারী পাখিদের খাবার ধরার কৌশল আছে। এরা বাতাসে উরন্ত অবস্থায় খাবারের (কীটপতঙ্গ) দিকে ধাওয়া করে এবং শক্ত ঠোটের মাধ্যমে খাবার ধরে ফেলে। এমনকি আকাশ থেকে কোন নিচের দিকে ছুটে পরা খাবারও তারা তাদের নখ বিশিষ্ট থাবা দিয়ে ধরে ফেলতে পারে। আধুনিক কালে শিকারী পাখির শরীরে ক্যামেরা বেঁধে এবং উচ্চ প্রযুক্তির মাধ্যমে জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে পাখির খাবার ধরার কৌশল আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই পাখির খাবার ধরার কৌশল খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে কোরআনে (২২:৩১) উল্লেখ করা হয়েছে।
٣١ حُنَفَاءَ لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بِهِ ۚ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ
অর্থঃ আল্লাহ তায়ালার প্রতি নিষ্ঠাবান হও, তার সাথে কাউকে শরিক করনা; আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরিক করে, তার অবস্থা হচ্ছে, সে যেন আসমান থেকে ছিটকে পড়লো, অতঃপর মাঝপথেই কোন পাখি যেন তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল কিংবা আসমান থেকে জমিনে পরার আগেই বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে দূরের কোন (অজ্ঞাতনামা) স্থানে ফেলে দিল।
Being true to Allah, without associating anything with Him. Whoever associates anything with Allah it is as though he has fallen from the sky, and was snatched by the birds, or was taken down by the wind to a deep place.
উপরের আয়াতে মানুষ যখন আকাশ থেকে পরবে তখন পাখি তাকে ছোঁ মেরে ধরবে এ কথাই বলা হয়েছে। লক্ষ্য করবেন, এখানে ছোঁ মেরে ধরার(ফাতাখতাফুহু) কথা বলা হয়েছে কিন্তু খেয়ে ফেলার কথা বলা হয়নি। খেয়ে ফেলার কথা বলা হলে ঠোঁটকে বোঝানো হত কিন্তু এখানে যেহেতু ছোঁ মেরে ধরার কথা বলা হচ্ছে, সেহেতু নখ-বিশিষ্ট শক্ত থাবার কথাই বলা হচ্ছে। আগের দিনে মানুষ জানত যে, মানুষ কেবল উড়ন্ত অবস্থায় ঠোঁট দিয়ে খাবার ধরতে পারে কিন্তু উড়ন্ত অবস্থায় নখ-বিশিষ্ট শক্ত থাবা (পা) দিয়ে খাবার ধরতে পারেনা। আধুনিক কালে আমরা তাদের থাবা (পা) দিয়ে খাবার ধরার এই কৌশল জানতে পেরেছি।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন পাখি বিশারদ ছিলেন যিনি পাখির খাবার ধরার কৌশল নিয়ে গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।
Source: www.miracles-of-quran.com/raptors.htm