রোজা (Fasting):
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোযা হল একটি। মুসলিমরা রোজা রাখার জন্য সুর্যোদয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত যে কোন ধরেনের পানীয় বা খাবার না খেয়ে থাকে। ২০১৬ সালে রোজা রাখার উপকারিতার উপর গবেষনা জাপানি একজন বিজ্ঞানী নোবেল প্রাইজ পান। রোজা রাখলে শরীরের ক্ষতিগ্রস্থ বা দুর্বলকোষ, প্রোটিন এবং টক্সিনগুলো প্রাকৃতিকভাবেই ভেঙে যায় এবং শরীরের জন্য তা পুনরায় ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিকেই ‘অটোফাজি’ বলে। ‘অটো’ অর্থ নিজ এবং ফাজি অর্থ খেয়ে ফেলা।অর্থ্যাৎ, অটোফাজি অর্থ হল নিজেকে খেয়ে ফেলা। অটোফাজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর তার নিজের ক্ষতিগ্রস্থ বা দুর্বল কোষ, প্রোটিন এবং টক্সিনগুলোকে খেয়ে ফেলে। অটোফাজি প্রক্রিয়া যদি না থাকত তাহলে শরীরে ক্ষতিগ্রস্থ কোষে ভরে যেত।অটোফাজি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ সহ ব্যকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কোষগুলোও ধ্বংস হয়।বেশি খাবার খেলে হৃদরোগ, ওজন, ব্লাড-সুগার, মস্তিস্ক, মানসিক অবস্থা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। পক্ষান্তরে, রোজা রাখলে ডাইবেটিস কমে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, আয়ু বাড়ে, ক্যন্সার রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, স্নায়ু বিষয়ক রোগের ঝুঁকি কমে, প্রদাহ কমে, রক্তচাপ কমে এবং ওজন ঠিক থাকে।কোরআন অনুযায়ী রোজা রাখা একটি দায়িত্ব। কোরআন শুধু দায়িত্ব বলেই শেষ করেনি। কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তবে তোমরা যদি রোজা রাখতে পার তাই তোমাদের জন্য ভাল, তোমরা যদি রোজার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে’।
কোরআনে (০২:১৮২-১৮৩) উল্লেখ করা হয়েছে,
١٨٢ فَمَنْ خَافَ مِنْ مُوصٍ جَنَفًا أَوْ إِثْمًا فَأَصْلَحَ بَيْنَهُمْ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ١٨٣ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
অর্থঃ…‘তবে তোমরা যদি রোজা রাখতে পার তাই তোমাদের জন্য ভাল, যদি তোমরা রোজার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে’।
…but to fast is best for you, if you only knew.
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, কিভাবে ঐ আমলে রাসুল (সঃ) জানলেন যে, রোজার এত গুরুত্ব?তিনি কি রোজার উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।