মানুষের ইন্দ্রিয় (Human Senses):
মানুষের ইন্দ্রিয় পাঁচটি। চোখ, কান, নাক, জিহবা এবং ত্বক। মায়ের পেটে থাকা অবস্থায়ই ধীরে ধীরে মানুষের ইন্দ্রিয়গুলো তৈরি হতে থাকে। তবে কোনটি আগে তৈরি হয় এবং কোনটি পরে তৈরি হয়। আমরা সম্প্রতি এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। কোরআনে (৭৬:০২) এই বিষয়ে উল্লেখ আছে,
٢ إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ نُطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَاهُ سَمِيعًا بَصِيرًا
অর্থঃ আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি (নারী পুরুষের) মিশ্রিত শুক্র থেকে, যেন আমি তাকে (তার ভাল মন্দের ব্যাপারে) পরীক্ষা করতে পারি, অতঃপর (এর উপযোগী করে তোলার জন্য) তাকে আমি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন করে পয়দা করেছি।
We created man from a fertilizing sperm, to test him; and We (Allah is one and only) made him hearing and seeing.
একটু ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখবেন উপরের আয়াতে প্রথমে শ্রবন শক্তি এবং তারপরে দ্বিতীয়তে দৃষ্টিশক্তির কথা উল্লেখ আছে। আধুনিক উন্নত যন্ত্রের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় প্রথমে শ্রবন শক্তি এবং তারপরে দ্বিতীয়তে দৃষ্টিশক্তি তৈরি হয়।
আরও একটি আয়াতে (২৩:৭৮) এ বিষয়ে বলা আছে,
٧٨ وَهُوَ الَّذِي أَنْشَأَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ ۚ قَلِيلًا مَا تَشْكُرُونَ
অর্থঃ (হে মানুষ,) তিনিই আল্লাহ তায়ালা, যিনি তোমাদের (শোনার জন্য) কান, (দেখার জন্য) চোখ (ও চিন্তা গবেষণার জন্যে) মন দিয়েছেন, কিন্তু তারা খুব অল্পই এসব দানের শোকর আদায় করে।
It is He who produced for you the hearing, and the eyesight, and the feelings. But little gratitude you show.
এই আয়াতেও প্রথমে শ্রবন শক্তি এবং তারপরে দ্বিতীয়তে দৃষ্টিশক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোরআনে বাকি তিনটি ইন্দ্রিয় অর্থ্যাৎ নাক, জিহবা ও ত্বকের কথাও প্রত্যক্ষ বা পরক্ষভাবে উল্লেখ করা আছে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে জানলেন মায়ের পেটে কোন ইন্দ্রিয়ের অঙ্গটি আগে, আর কোনটি পরে তৈরি হয়? তিনি কি মাতৃগর্ভের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।