মধু (Honey)

মধু (Honey)

মধু (Honey):

মৌমাছির পেটে থাকা তরল পদার্থ আবার মৌমাছির মুখ দিয়েই বাইরে বেরিয়ে আসে। আমরা তাকে মধু বলি। প্রায় ১৪৫০ বছর আগে মানুষ জানত, মধু একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু মধু যে ঔষধ হিসিবেও ব্যবহৃত হতে পারে তা মানুষের জানা ছিলনা। এখন আমরা জানতে পেরেছি নিয়মিত মধু খেলে তা প্রাকৃতিকভাবেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয়, মধু ক্ষতস্থানে লাগালে সেখানে জীবাণু ধ্বংস হয়। মধু অ্যান্টিবায়োটিকের মত কাজ করে। মধু ক্ষতস্থানে সুরক্ষার জন্য একধরণের আদ্র প্রলেপ তৈরি করে যার ফলে জীবাণু সংক্রমিত হতে পারেনা। মধু ক্ষতস্থানে সুরক্ষা প্রলেপ তৈরির পাশাপাশি ক্ষতস্থান পুরন করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও সহায়তা করে। মধু ক্ষতস্থানে লাগালে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরী হয়, যা জীবাণুর কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। আর এক ধরণের মধু আছে যা কিনা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে তারপরও জীবাণুর কার্যক্ষমতা নষ্ট করতে থাকে। এছাড়াও মোমাছির থাকার বাসাগুলো নিখুঁত ষড়ভুজ আকৃতির।

মধু জীবানু ধ্বংস করে। আর যত দ্রুত জীবানু ধ্বংস হয়, তত দ্রুত ক্ষতস্থান সেরে উঠে। আধুনিক গবেষনার ফলে এই সম্পুর্ন প্রক্রিয়া আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই কোরআনে (১৬:৬৮-৬৯)এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে,

٦٨  وَأَوْحَىٰ رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُونَ٦٩  ثُمَّ كُلِي مِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِي سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا ۚ يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

অর্থঃ তোমার মালিক মৌমাছিকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, পাহাড়ের (গায়ে) গাছে (র ডালে) এবং (অন্য কিছুর উপর)যা তোমরা বানাও তার উপর নিজেদের থাকার ঘর নির্মাণ করো, তারপর প্রত্যেক ফল থেকে (রস আহরণ করে তা) খেতে থাক অতঃপর তোমার মালিকের নির্ধারিত পথ ধরে পুর্ন আনুগত্যের সাথে (সেদিকে) এগিয়ে চল; (এভাবে) তার পেট থেকে রঙ বেরঙের পানীয় (দ্রব্য) বের হয়, যার মধ্যে মানুষদের নিরাময়ের ব্যবস্থা রয়েছে; (অবশ্য) এতেও নিদর্শন রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা (আল্লাহর এ সৃষ্টি বৈচিত্র নিয়ে) চিন্তা করে।

And your Lord (Allah) revealed to the bees: Build your hives in mountains, trees and in what they build. Then eat from every fruit and follow your Lord’s enslaved paths, from its bellies exits drink of different colors, in it healing for man. These are signs for those who contemplate.

উপরের আয়াতে ‘শিফা’ অর্থ আরোগ্য লাভ। এখানে মধুকে খাদ্য হিসেবে বলা হয়নি। বরং মধুকে ‘শিফা’ বা আরোগ্য লাভের উপায় বা ঔষধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে জানলেন এই মৌমাছির কথা এবং তিনি কি প্রাণী বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং তিনি কি মৌমাছির উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

http://www.miracles-of-quran.com/honey.htm

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *