বাতাস (Wind):
আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে মানুষ জানত, ঝড়ের বাতাস মানুষকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু মানুষের মত ঝড়ের বাতাস যে গাছপালাকেও ভেঙে বা শিকর সহ উপড়ে ফেলতে পারে, তা জানত না। কিন্তু আমরা এখন জানতে পেরাছি, শুধু গাছপালা নয় বরং ঝড়ের বাতাস মানুষের ঘরবাড়ি পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।
কোরআনে (৬৯:৬-৭) এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
٦ وَأَمَّا عَادٌ فَأُهْلِكُوا بِرِيحٍ صَرْصَرٍ عَاتِيَةٍ٧ سَخَّرَهَا عَلَيْهِمْ سَبْعَ لَيَالٍ وَثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومًا فَتَرَى الْقَوْمَ فِيهَا صَرْعَىٰ كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ خَاوِيَةٍ
অর্থঃ আর (শক্তিশালী গোত্র) আদকে ধ্বংস করা হয়েছে প্রচণ্ড এক ঝঞ্জাবায়ুর আঘাতে, একটানা সাত রাত ও আট দিন ধরে তিনি তাদের উপর দিয়ে এ প্রচণ্ড বায়ু প্রবাহিত করে রেখেছিলেন, (তাকালে) তুমি (সে) জাতিকে দেখতে পেতে, তারা যেন মৃত খেজুর গাছের কতিপয় অন্তসারশুন্য কাণ্ডের মত উপুর হয়ে পড়ে আছে।
And as for Aad; they were annihilated by a furious, roaring wind. He unleashed it upon them for seven nights and eight days, in succession. You could see the people tossed around, as though they were empty stumps of palm trees.
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে জানলেন প্রবল বাতাস গাছকে ভেঙে বা শিকড়সহ উপরে ফেলতে পারে? তিনি কি এ বিষয়ে গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।