ফারাও (Pharaoh)

ফারাও (Pharaoh)

ফারাও (Pharaoh):

ফারাও বা ফেরাউন উপাধি কেবল মিশরীয়দের নতুন যুগের রাজাদের জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু প্রাচীন মিশরীয় রাজারা এই ফারাও বা ফেরাউন উপাধি ব্যবহার করতনা। বাইবেল অনুযায়ী আব্রাহাম এবং জোসেফ ফারাও রাজার সাথে দেখা করেছিল। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে বের করেছেন যে, তা সত্য নয়। কারণ, ফারাও বা ফেরাউন উপাধি কেবল মিশরীয়দের নতুন যুগের রাজাদের জন্য ব্যবহার করা হত, প্রাচীন যুগের রাজাদের জন্য উপাধি ব্যবহৃত হত না। প্রাচীন যুগের সময় ‘ফারাও’ শব্দ দিয়ে বড়প্রাসাদ বা উচ্চ অট্টালিকাকে বোঝানো হত। কিন্তু কোন রাজা বা শাসককে বোঝানো হতনা। অর্থ্যাৎ, আব্রাহাম এবং জোসেফ এর আমলে যারা রাজা বা শাসক ছিলেন তাদের ‘ফারাও’ বলা হতনা। বরং, ‘ফারাও’ বলা হত মিশরীয়দের নতুন যুগের রাজাদের। কোরআনেও এ বিষয়ে একদম সঠিক তথ্যই পাওয়া যায়।

আব্রাহাম এবং জোসেফের আমলের শাসকদের কোরআনে শুধুমাত্র রাজা বা বাদশাহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্ত নবী মুসার আমলের শাসকদের উল্লেখ করা হয়েছে ফারাও বা ফেরাউন উপাধি দিয়ে।

আব্রাহাম এবং জোসেফের আমলের শাসকের বিষয়ে নিন্মে কোরআনে (১২:৫৪) উল্লেখ আছে,

٥٤  وَقَالَ الْمَلِكُ ائْتُونِي بِهِ أَسْتَخْلِصْهُ لِنَفْسِي ۖ فَلَمَّا كَلَّمَهُ قَالَ إِنَّكَ الْيَوْمَ لَدَيْنَا مَكِينٌ أَمِينٌ

অর্থঃ বাদশাহ (রাজা) বললো, তাকে আমার কাছে হাজির কর, আমি তাকে একান্তভাবে আমার নিজের করে রাখব, ইউসুফকে আনার পর অতঃপর বাদশাহ তার সাথে কথা বলল…

And the king said, “Bring him to me; I will appoint him exclusively for myself.” And when he spoke to him, he said, “Indeed, you are today established [in position] and trusted.”

আর মুসা নবীর আমলের শাসকের বিষয়ে নিন্মে কোরআনে (৪০:২৬) উল্লেখ আছে,

٢٦  وَقَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُونِي أَقْتُلْ مُوسَىٰ وَلْيَدْعُ رَبَّهُ ۖ إِنِّي أَخَافُ أَنْ يُبَدِّلَ دِينَكُمْ أَوْ أَنْ يُظْهِرَ فِي الْأَرْضِ الْفَسَادَ

অর্থঃ(এক পর্যায়ে) ফেরাউন (তার পরিষদদের) বলল, তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও, আমি মুসাকে হত্যা করে ফেলি, ডাকুক সে তার রবকে…

Pharaoh said, “Let me kill Moses, and let him appeal to his Lord. I fear he may change your religion, or spread disorder in the land.”

উপরের দুইটি আয়াতে লক্ষ্য করলে দেখবেন, (১২:৫৪) নম্বর আয়াতে বাদশাহ বা রাজা বলা হয়েছে এবং (৪০:২৬) নম্বর আয়াতে বাদশাহ বা রাজা না বলে বরং ফেরাউন উপাধি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে জানলেন, কোন আমলে রাজাদের কোন উপাধিতে ডাকা হত? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

http://www.miracles-of-quran.com/pharaoh.htm

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *