পরাগায়ন (Pollination):
পরাগায়ন প্রক্রিয়া না থাকলে গাছপালা বংশ বৃদ্ধি করতে পারতনা। মানুষের মধ্যে যেমন পুরুষ এবং নারী আলাদা, তেমনি গাছের মধ্যেও পুরুষ অংশ এবং নারী অংশ আলাদা আলাদা থাকে। কীটপতঙ্গ, বিভিন্ন পশুপাখি, বৃষ্টির পানি এবং বাতাস ইত্যাদির কারণে গাছপালায় পরাগায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পরাগায়নের ফলে পরাগরেনু গাছের পুরুষ অংশ থেকে নারী অংশে স্থানান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়া না থাকলে পৃথিবী গাছপালা শুন্য হয়ে যেত।
বাতাসের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি পরাগায়ন হয়। ছোট ছোট উদ্ভিদ যেমন ঘাসের ক্ষেত্রেও পরাগায়ন হয় বাতাসের মাধ্যমে। এ বিষয়ে কোরআনে (১৫:২২) উল্লেখ আছে,
٢٢ وَأَرْسَلْنَا الرِّيَاحَ لَوَاقِحَ فَأَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَسْقَيْنَاكُمُوهُ وَمَا أَنْتُمْ لَهُ بِخَازِنِينَ
অর্থঃ আমিই বৃষ্টি গর্ভ বায়ু (পরাগায়ন ঘটাতে) প্রেরণ করি, তারপর আমিই আকাশ থেকে পানি বর্ষন করি, অতপর আমিই তোমাদের তা পান করাই…
And We (Allah is one and only) sent the seeding winds, then cause the rain to descend from the sky, and gave you water to drink, though you are not the guardians of its stores.
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি ঐ আমলে বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়নের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন অথচ পরাগায়ন খালি চোখে দেখা যায়না? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।
http://www.miracles-of-quran.com/pollination.htm
পরাগায়ন (Pollination)