নবী মুসার নামের অর্থ (Moses name):
বাইবেল অনুযায়ী ‘মুসা’ একটি হিব্রু নাম। কিন্তু মুসা নবীর নাম যারা রেখেছে, অর্থাৎ রাজা ফারাও এবং তার পরিবার হিব্রু ভাষার লোক ছিল না বরং তারা ছিল মিসরীয়ান। সম্প্রতি মিসরীয়ান গবেষকরা ‘মুসা’ নামের মিসরীয় অর্থ বের করতে সক্ষম হয়েছেন।
আরবী ভাষায় মুসা নবীকে ‘মুসা’ নামেই ডাকা হয় কিন্তু হিব্রু ভাষায় মুসা নবীকে ‘মসীই’ নামে ডাকা হয়। এ কারণে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠে, ঐ আমলে মুসা নামটি কিভাবে উচ্চারণ করা হত আর এই নামের অর্থই বা কি ছিল?
বিষয়টি অনুসন্ধানে একজন মিসরীয় পুরাতত্ত্ব গবেষকের সাহায্য নেয়া হয়। তিনি বলেন ‘মস’ নামটি প্রাচীন মিসরীয় ইতিহাসের অনেকের ক্ষেত্রেই নামের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হত, যার অর্থ হল ‘জন্ম দেয়া’।
‘মস’ নামক অংশটি রাজা ‘রামেস’ এবং ‘রামেসসু’ উভয়ের নামের মধ্যেই পাওয়া যায়।‘রামেস’ অর্থ ‘সুর্য দেবতা আমাকে জন্ম দিয়েছিল’ এবং ‘রামেসসু’ অর্থ ‘সুর্য দেবতা তাকে জন্ম দিয়েছিল’। নবী মুসার নামেও ‘মস’ নামক অংশটি বিদ্যমান। গবেষকদের মতে ‘মুসা’ নামটির দুইটি অর্থ হতে পারে। একটি হল ‘যে জন্ম দিয়েছে’ আর অপরটি হল ‘নবজাতক’।অর্থ্যৎ প্রাচীন মিসরীয় যুগে ‘মুসা’ অর্থ ছিল ‘নবজাতক’।
কোরআনে (২৬:১৮) এই বিষয়ে উল্লেখ আছে,
١٨ قَالَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ
অর্থঃ (ফেরাউন এসব শুনে) বলল, হে মুসা, আমরা কি তোমাকে আমাদের তত্ত্বাবধানে (নবজাতক হিসেবে) রেখে লালন পালন করিনি? তুমি কি তোমার জীবনের বেশ কয়টি বছর আমাদের মধ্যে অতিবাহিত করোনি?
He said, “Did we not raise you among us as a newborn? and you stayed among us for many of your years?
উপরের আয়াতে ‘ওয়ালিদান’ শব্দের অর্থ হল নবজাতক। আরব দেশে আরবি ভাষায় এই নাম বহুল প্রচলিত আবার ‘মুসা’ নামের অর্থও মিসরীয় যুগেও ছিল নবজাতক।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে জানলেন মিশরীয় যুগে মুসা নবীর নামের অর্থ কি ছিল? তিনি কি এই বিষয় নিয়ে গবেষনা করে তারপর কোরআনের এই আয়াতে ‘ওয়ালিদুন’ শব্দ ব্যবহার করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।