দৃষ্টিশক্তি (Vision)

দৃষ্টিশক্তি (Vision)

দৃষ্টিশক্তি (Vision):

মহাকাশে যখন নভোচারীরা দীর্ঘ সময় থাকে তখন তাদের দৃষ্টশক্তি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি মহাকাশ থেকে নভোচারীরা যখন অভিযান শেষ করে পৃথিবীতে ফিরে আসে তখনও তাদের দৃষ্টি শক্তি ঝাপসা হয়ে যায় এবং তা মাসখানেক পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। মহাকাশে যত নভোচারী যায় তার প্রায় দুইতৃতীয়াংশের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়ার সমস্যা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নভোচারীদের শরীরের উপর গবেষণা করে জানিয়েছে যে, নভোচারীরা যদি দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকে তাহলে তাদের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে তারা অন্ধও হয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন নভোচারী প্রায় একবছর মহাকাশে ছিল। মহাকাশে যাবার আগে তার বই পড়ার জন্য চশমা লাগত না। কিন্তু যখন তিনি পৃথিবীতে ফিরে আসেন তখন তিনি বই পড়ার জন্য চোখে চশমা পরতে বাধ্য হন। একজন স্বাভাবিক মানুষের দৃষ্টিশক্তি ২০/২০। অন্য একজন নভোচারীর ক্ষেত্রে ছয় মাসের ব্যবধানে দৃষ্টিশক্তি ২০/২০ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ২০/১০০ হয়। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিল মহাকাশে পৃথিবীর তুলনায় মধ্যাকর্ষণ শক্তি কম হওয়ার কারণেই এই চোখের সমস্যা হয়। বেশিরভাগ নভোচারীই মাহাকাশে যাওয়ার প্রথম কয়দিন মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাগ অনুভব করে। এগুলো ঠিক হয়ে যায় কিন্তু ঝাপসা দৃষ্টির সমস্যা সবচেয়ে বেশী দীর্ঘস্থায়ী হয়। আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে কোরআনে (১৫:১৪-১৫) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

١٤  وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَابًا مِنَ السَّمَاءِ فَظَلُّوا فِيهِ يَعْرُجُونَ١٥  لَقَالُوا إِنَّمَا سُكِّرَتْ أَبْصَارُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَسْحُورُونَ

অর্থঃআমি যদি এদের উপর আসমানের দরজাও খুলে দেই, অতপর তারা যদি তাতে চড়তে শুরু করে (তারপরও এরা ঈমান আনবেনা), বরং বলবে আমাদের দৃষ্টিই মোহাবিষ্ট হয়ে গেছে, কিংবা আমরা হচ্ছি এক জাদুগ্রস্থ সম্প্রদায়।

Even if We [Allah] opened upon them from the heaven a door and they continued passing through it they would say ‘Our sights were intoxicated (سُكِّرَتْ ), rather we were bewitched‘.

উপরের আয়াতে ‘সুককিরাত’ শব্দের অর্থ হল মদ্যাসক্ত। অর্থ্যাৎ মদ খেয়ে আসক্ত। নিয়মিত মদ পান করলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং ঝাপসা দৃষ্টি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি নভোচারীদের ও একই ধরণের শারীরিক সমস্যা হয়। আর উপরের আয়াতে ‘আসমানের দরজাও খুলে’ দেওয়া বলতে ‘ওয়ার্মহোল’কে বুঝানো হয়েছে। যদিও মানুষ এখনও ওয়ার্মহোল আবিষ্কার করতে পারেনি। এটি একটি বৈজ্ঞানিক ধারনা। আর ‘ওয়ার্মহোল’ হল মৌলিকভাবে মহাবিশ্বের দুই প্রান্ত বা দুই মহাবিশ্বের মধ্যে এমন এক ক্ষুদ্র সুড়ঙ্গপথ বা ‘শর্টকাট রাস্তা’, যার মধ্যদিয়ে দীর্ঘ সময়ের রাস্তা, এক মুহুর্তেই অতিক্রম করা যায় এবং এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া যায়। অথবা এক মহাবিশ্ব থেকে অন্য মহাবিশ্বে যাওয়া যায়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে জানলেন যে, নভোচারীদেরও মদ্যপায়ীদের মত দৃষ্টিবিভ্রম বা দৃষ্টিজনিত সমস্যা হয়? আর আকাশের দরজা বা ওয়ার্মহোল সম্পর্কেই বা তিনি কিভাবে ঐ আমলে ধারণা করলেন? তিনি কি গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

http://www.miracles-of-quran.com/vision.htm

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *