কার্নাক মন্দির (Karnak Tample):
মিসরীয় সভ্যতার ইতিহাসে কার্নাক মন্দিরের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। পবিত্র কোরআনেও এ বিষয়ে উল্লেখ আছে। এই বড় হলটি প্রায় ৫,০০০ জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এর ছাদটি বর্তমানে ভাঙা। এই ছাদটি ১৬ সারিতে বিভক্ত ১৩৪ টি স্তম্ভ বা থাম্বার উপর ছিল। মাঝখানের দুই সারির স্তম্ভগুলো অন্য স্তম্ভগুলো থেকে উচু ছিল। আগেকার গবেষকরা ভাবত, প্রশস্ত এই হলটি হোরেমহেভ বা আমেনহোটপ-III নামক ব্যক্তিদের যে কোন একজন বানিয়েছেন। কিন্তু হলটি আসলে বানিয়েছেন সেটি-I নামক একজন ব্যক্তি যিনি দেয়ালের গায়ে বিভিন্ন চিত্রলীপি সহ হলের উত্তর দিকের অংশ বানিয়েছিলেন। আর দক্ষিণের অংশ বানিয়েছিলেন ১৯ তম ফারাও রেমেসিস-II.বর্তমানে মাত্র তিনটি স্তম্ভ অবশিষ্ট রয়েছে এবং বাকীগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কোরআনে (৩৮:১২) উল্লেখ করা হয়েছে।
١٢ كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَعَادٌ وَفِرْعَوْنُ ذُو الْأَوْتَادِ
অর্থঃ এদের পুর্বেও রাসুলদের এভাবে মিথ্যাবাদী বলেছিল- নুহ, আদ এবং কীলক (স্তম্ভ) বিশিষ্ট ফেরাউনের জাতি।
Before them the people of Noah denied the truth; as did Aad, and Pharaoh of pillars.
উপরের আয়াতে তিনটি জাতির কথা বলা হয়েছে। যথাঃ নুহ, আদ এবং ফেরাউন। কিন্তু বৈশিষ্ট বলা হয়েছে শুধুমাত্র ফেরাউন জাতির। ফেরাউন জাতির উচু উচু স্তম্ভের কথা উপরের আয়াতে বলা হয়েছে কিন্তু নুহ বা আদ জাতির বৈশিষ্ট হিসেবে কিছু বলা হয়নি।
এখন আমরা জানতে পেরেছি মিসরীয় সভ্যতার নতুন যুগের রাজাদের নামের উপাধি হিসেবে ফারাও বা ফেরাউন ব্যবহৃত হত কিন্তু তার আগে এই উপাধি ব্যবহার করা হতনা। কার্নাক মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল মিসরীয় মধ্য যুগে, তখন কোন ফারাও বা ফেরাউন উপাধির রাজা ছিলনা। কার্নাক মন্দিরের পিলার এবং স্তম্ভগুলো মধ্য যুগের আরও পরে যখন তৈরী করা হয়, তখনই কেবল রাজাদের উপাধি ফারাও বা ফেরাউন দেয়া হত। কত সঠিক কোরআনের শব্দ চয়ন।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে একজন নিরিক্ষর ব্যক্তি হয়েও সঠিক তথ্য দিয়েছেন? কিভাবে তিনি বুঝেছিলেন কে ফারাও আর কে ফারাও না? আর তিনি অন্য দুইটি জাতির বৈশিষ্ট বলেননি কিন্তু ফেরাউন জাতির বৈশিষ্টের কথা কেন বললেন? তিনি কি গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? তিনি কি একজন ইতিহাসবিদ ছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।