উড়োজাহাজ (Flight):
উড়োজাহাজ (Flight): আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে মানুষ যে কখনও আকাশে উড়তে পারবে তা কল্পনাও করতে পারত না। কিন্তু মানুষ যে একদিন আকাশে উড়বে সে সম্পর্কে কোরআনে ভবিষ্যৎ বাণী করা হয়েছে পরোক্ষভাবে। কোরআনে (২৯:২২) আছে,
٢٢ وَمَا أَنْتُمْ بِمُعْجِزِينَ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ ۖ وَمَا لَكُمْ مِنْ دُونِ
অর্থঃ তোমরা জমীনে (যেমন) আল্লাহকে (তার পরিকল্পনায়) অক্ষম করে দিতে পারবেনা, (তেমনি পারবেনা) আসমানে (বস্তুত) আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই, নেই কোন সাহায্যকারীও।
You cannot escape (Allah’s might), on earth or in the sky; and you have no protector and no savior besides Allah.
উপরের আয়াতের উপর একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে রাসূলদের যুগেও ভূমিতে বিভিন্ন অত্যাচারী শাসক ছিল এবং তারা আল্লাহকে অক্ষম করে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল। তখন মানুষ আকাশে উঠতে পারতনা। এখন মানুষ আকাশে উড়তে পারে বিমান ও রকেটের মাধ্যমে। আর এই যুগেও তারা আল্লাহকে আকাশে গিয়ে অক্ষম করে দিতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবেনা।
আর উপরের আয়াত অনুযায়ী, ‘আকাশে আল্লাহকে অক্ষম করতে পারবেনা’ এর অর্থ হল একদিন মানুষ আকাশে উড়বে এবং আকাশে উড়ে গিয়ে তারপরও আল্লাহকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করবে, কিন্তু পারবেনা। অর্থ্যাৎ, আল্লাহকে আকাশে ব্যর্থ করতে হলে প্রথমে মানুষকে আকাশে উঠতে হবে। এই যুগে মানুষ বিমানে উঠতে পারে ঠিকই কিন্তু কোরআন নাজিলের সময় মানুষ আকাশে উড়ার কথা কল্পনাও করতে পারত না, অথচ কোরআনে তা উল্লেখ করা হয়েছে। কিভাবে তা সম্ভব? অন্য একটি আয়াতে (৮৪:১৯) আছে,
١٩ لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَنْ طَبَقٍ
অর্থঃ তোমাদের অবশ্যই একটি স্তর থেকে আরেকটি স্তরে এগিয়ে যেতে হবে।
[That] you will surely experience state after state.
তাবাক বা طبق অর্থ স্তর।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন বিমান-বৈজ্ঞানিক ছিলেন, যিনি বিমানে করে আকাশে উড়েছিলেন এবং এই বিষয়ে গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? তিনি ঐ আমলে কিভাবে জানলেন ভবিষ্যতে মানুষ আকাশে উড়বে? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।
Source: www.miracles-of-quran.com