আলো (Light)

আলো (Light)

আলো (Light):

বাতাস দেখা যায়না। কিন্তু অনুভব করা যায় ত্বক দিয়ে। ঠিক একইভাবে আলো দেখা যায়না বরং আলোকিত বস্তু দেখা যায়। আগের দিনে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে যা অনুভব করা যায় তার বাইরে অদৃশ্য কিছু থাকতে পারে বলে মানুষ বিশ্বাস করতনা। কিন্তু এখন আমরা জানি, অদৃশ্য আলোর তরঙ্গ আছে। কোরআনে (৬৯:৩৮-৩৯) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে।

٣٨  فَلَا أُقْسِمُ بِمَا تُبْصِرُونَ٣٩  وَمَا لَا تُبْصِرُونَ

অর্থঃ তোমরা যা কিছু দেখতে পাও আমি তার শপথ করছি। (আরও শপথ করছি) যা তোমরা দেখতে পাওনা।

I swear by what you see, and by what you do not see.

তড়িৎ চুম্বকিয় তরঙ্গকে আমরা সাধারণত নিচের ধাপ গুলোতে ভাগ করি।

১. গামা বিকিরণ তরঙ্গ।

২. এক্সরে বিকিরণ তরঙ্গ।

৩. অতি বেগুনী রশ্মিবিকিরণ তরঙ্গ।

৪. দৃশ্যমান আলোর বিকিরণ তরঙ্গ।

৫. ইনফ্রারেড বিকিরণ তরঙ্গ।

৬. টেরা হার্টজ বিকিরণ তরঙ্গ।

৭. মাইক্রওয়েভ বিকিরণ তরঙ্গ।

৮. রেডিও বিকিরণ তরঙ্গ।

এই মহাবিশ্বে যত ধরণের বিকিরণ তরঙ্গ আছে, তার মধ্যে খুব সামান্যই আমরা দেখতে পাই। বেশিরভাগ বিকিরিত আলোই আমরা দেখতে পাইনা। আর এই অদৃশ্য জগত সম্পর্কেই আল্লাহ শপথ করেছেন উপরের আয়াতে। রাসুলের যুগে মানুষ এগুলো কল্পনাও করতে পারতনা। কিন্তু বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির ফলে এই সব তরঙ্গ দিয়ে এক্সরে করা হয়, রেডিও, টিভি এবং মোবাইল ইত্যাদিও অদৃশ্য তরঙ্গের মাধ্যমেই চলে।

ঠিক একই রকমভাবে জিন এবং ফেরেশতা নামক অদৃশ্য জাতিও আছে যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা। অদূর ভবিষ্যতে আমরা হয়ত তাদেরকেও দেখতে পারব।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে ঐ আমলে এইসব অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে ধারণা করেছিলেন? তিনি কি এসবের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

http://www.miracles-of-quran.com/light.htm

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *