পশুপাখির ভাষা (Animals’ language):
সব পশুপাখির শব্দ আমরা শুনতে পাইনা (যেমন পিঁপড়া) কারণ শব্দ শুনতে হলে শব্দটিকে নির্দিষ্ট তরঙ্গ সীমার মধ্যে থাকতে হয়। শব্দ অনেক আস্তে হলেও শুনিনা আবার অনেক জোড়ে হলেও শুনতে পাইনা। যুগ যুগ ধরে মানুষ পাখির ভাষা ব্যবহার করে বড় বড় শিকারি পশুপাখিদের অবস্থান নির্নয় করত। তারা পাখির ডাক শুনে বুঝতে পারত পাখিরা কিভাবে যোগাযোগ করে এবং বনের মধ্যে কিভাবে একটি পাখি অন্যটিকে সতর্ক করে।
আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এখন আমরা জানতে পারি যে পাখিদের নিজস্ব ভাষা আছে এবং এক এক রকম আওয়াজের এক এক রকম অর্থ আছে। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই কোরআনে পাখির ভাষা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআনে (২৭:১৬) আছে,
١٦ وَوَرِثَ سُلَيْمَانُ دَاوُودَ ۖ وَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ عُلِّمْنَا مَنْطِقَ الطَّيْرِ وَأُوتِينَا مِنْ كُلِّ شَيْءٍ ۖ إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ الْفَضْلُ الْمُبِينُ
অর্থঃ (দাউদের মৃত্যুর পর) সোলায়মান দাউদের উত্তরাধিকারী হল, (উত্তরাধিকার পেয়ে) সে (তার জনগণকে) বলল, হে মানুষরা, আমাদেরকে (আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে) পাখিদের বুলি (পর্যন্ত) শেখানো হয়েছে , (এছাড়াও) আমাদেরকে (দুনিয়ার) প্রতিটি জিনিষই দেয়া হয়েছে; এ হচ্ছে আল্লাহর এক সুস্পষ্ট অনুগ্রহ।
And Solomon inherited David. He said, “O people, we have been taught the language of birds, and we have been given from all things. Indeed, this is evident bounty.”
শুধু তাই নয়, পিঁপড়াও যে একে অন্যের সাথে কথা বলতে পারে সে বিষয়টিও কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে। কোরআনে (২৭:১৮) আছে,
١٨ حَتَّىٰ إِذَا أَتَوْا عَلَىٰ وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَا أَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا
অর্থঃ (সোলায়মান একবার অভিযানে বের হল,) তারা যখন পিপীলিকা (অধ্যুষিত) উপত্যকায় পৌছালো, তখন একটি স্ত্রী পিপীলিকা (তার স্বজনদের) বললো, হে পিপীলিকার দল, তোমরা (দ্রুত) নিজ নিজ গর্তে ঢুকে পড়ো, (দেখো) এমন জেনো না হয়, সোলায়মান ও তার বাহিনী নিজেদের অজান্তে তোমাদের পায়ের নিচে পিষে ফেলবে।
Until, when they came upon the valley of the ants, an ant said, “O ants, enter your dwellings that you not be crushed by Solomon and his soldiers while they perceive not.
আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে এখন আমরা তাদের শব্দ তরঙ্গের বৈচিত্র আলাদা করতে পারি। শুধু পাখি আর পিঁপড়া নয় বরং পৃথিবীর প্রতিটি প্রানী এমনকি জড় বস্তুও আল্লাহর প্রশংসা করে। কোরআনে (১৭:৪৪) আছে,
٤٤ تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَنْ فِيهِنَّ ۚ وَإِنْ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَٰكِنْ لَا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ ۗ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
অর্থঃ সাত আসমান, যমীন এবং এ (দুয়ের) মাঝখানে যা কিছু (মজুদ) আছে তা সবই আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে; (সৃষ্টিলোকে) কোন একটি জিনিসই এমন নেই যা তার প্রশংসা, পবিত্রতা ও মাহাত্ম্য ঘোষণা করেনা, কিন্তু তাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পারোনা; অবশ্যই তিনি একান্ত সহনশীল ও ক্ষমাপরায়ন।
The seven heavens and the earth and whatever is in them exalt Him. And there is not a thing except that it exalts [ Allah ] by His praise, but you do not understand their [way of] exalting. Indeed, He is ever Forbearing and Forgiving.
অর্থাৎ, অনু পরমানু বা তার চেয়েও ছোট ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন কিংবা নক্ষত্র এবং ছায়পথ থেকেও বড় যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর প্রশংসা করে চলেছে, কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনা।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন প্রানীবিদ্যার গবেষক ছিলেন যিনি পৃথিবীর সকল পাখি, পিঁপড়া এবং প্রানীদের নিয়ে গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।
Source: www.miracles-of-quran.com