বুকের দুধ খাওয়ানো (Breast Feeding)

Breast Feeding

বুকের দুধ খাওয়ানো (Breast Feeding):

বুকের দুধ বাচ্চার জন্য প্রেরিত প্রথম প্রাকৃতিক খাদ্য। বুকের দুধেই শিশুর জন্য থাকে শক্তি এবং পুষ্টিগুণ। বুকের দুধেই বাচ্চার জীবনের প্রথম মাসের বিকাশের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই উপস্থিত থাকে। বাচ্চার জীবনের প্রথম এক বছরে যে পরিমান পুষ্টিগুন প্রয়োজন হয়, তার অর্ধেকের ও বেশি পরিমান আসে বুকের দুধ থেকে। এমনকি দ্বিতীয় বছরের প্রথম চার মাসের জন্যও ঐ পুষ্টিগুণ যথেষ্ট।

শিশু যত বড় হয় বুকের দুধ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। যখন শিশুর বয়স দুই বছর হয়, তখন সন্তানের জন্য যে পরিমান পুষ্টিগুণ প্রয়োজন হয়, মা তখন কেবলতার এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করতে পারে। একারনেই এসময় বুকের দুধের পাশাপাশি অন্য খাদ্যেরও প্রয়োজন হয়। কোরআনে (০২:২৩৩) আছে,

٢٣٣  وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ ۖ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ ۚ وَعَلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ لَا تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَا تُضَارَّ وَالِدَةٌ بِوَلَدِهَا وَلَا مَوْلُودٌ لَهُ بِوَلَدِهِ ۚ وَعَلَى الْوَارِثِ مِثْلُ ذَٰلِكَ ۗ فَإِنْ أَرَادَا فِصَالًا عَنْ تَرَاضٍ مِنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا ۗ وَإِنْ أَرَدْتُمْ أَنْ تَسْتَرْضِعُوا أَوْلَادَكُمْ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِذَا سَلَّمْتُمْ مَا آتَيْتُمْ بِالْمَعْرُوفِ ۗ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

অর্থঃ মায়েরা পুরো দুই বছরই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াবে (এ নিয়ম তার জন্য), যে ব্যক্তি চায় (সন্তানের) দুধ খাওয়ানোটা পুরোপুরি আদায় করুক…

Mothers may nurse their infants for two whole years, for those who desire to complete the nursing-period.

শুধু তাই নয়, বরং বুকের দুধ খাওয়ালে মা ও শিশুর মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় হয়। বিজ্ঞানীরা স্ক্যানার যন্ত্রের মাধ্যমে এই বিষয়ে মায়েদের উপর পরিক্ষা চালান। ঐ যন্ত্রে মা কে ঢুকিয়ে বিভিন্ন বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনানো হয়। যে মা বুকের দুধ খাওয়ায় সে নিজের বাচ্চার কান্না চিনতে পারে কিন্তু যে মা বুকের দুধ না খাইয়ে বাইরের দুধ খওয়ায় সে নিজের শিশুকে কান্নার মাধ্যমে চিনতে ভুল করে। স্ক্যানার যন্ত্রের মাধ্যমে মস্তিস্কে তাপমাত্রার পার্থক্যের পরিবর্তন দেখে এই পরীক্ষা করা হয়। কোরআনে (২২:২)আছে,

অর্থঃ সেদিন তোমরা তা নিজেরা দেখতে পাবে, (দেখবে) বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে এমন প্রতিটি নারী (ভয়াবহ আতঙ্কে) তার দুগ্ধপোষ্যকে ভুলে যাবে, প্রতিটি গর্ভবতী (জন্তু) তার (গর্ভস্থিত বস্তুর) বোঝা ফেলে দিবে, মানুষকে যখন তুমি দেখবে তখন (তোমার) মনে হবে তারা বুঝি কিছু নেশাগ্রস্থ মাতাল, কিন্তু তারা আসলে কেউই নেশাগ্রস্থ নয়, বরং (এটা হচ্ছে এক ধরণের আযাব,) আল্লাহ তায়ালার আযাব কিন্তু অত্যন্ত ভয়াবহ।

When you will see it [final Hour] every nursing mother will discard her infant, and every pregnant woman will miscarry, and you will see the people drunk, even though they are not drunk. But the punishment of Allah is severe.

কোরআন অনুযায়ী শিশুকে দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো যায়। যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানো নিয়ে গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।

Source: www.miracles-of-quran.com

বুকের দুধ খাওয়ানো (Breast Feeding)

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *