
হামান (Haman)
বাইবেলে ‘হামান’ নামটি পাওয়া যায়। বাইবেল অনুযায়ী মুসা নবীর আমলের বহু যুগ পরে হামান পারস্যের (ইরান) রাজার উপদেষ্টা হয়েছিল। আবার কোরআনেও ‘হামান’ নামটি পাওয়া যায় যিনি মুসা নবীর আমলের এক ব্যক্তি ছিল। অবিশ্বাসীরা বলে কোরআনের তথ্যগুলো বাইবেল থেকে নকল করে লিখা হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর যুগেও কেউ জানত না হামান আসলে কি ছিল অর্থ্যাৎ তার পেশা কি ছিল। কোরআনে (২৮:৩৮) এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে,
وَقَالَ فِرْعَوْنُ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ مَا عَلِمْتُ لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرِي فَأَوْقِدْ لِي يَا هَامَانُ عَلَى الطِّينِ فَاجْعَلْ لِي صَرْحًا لَعَلِّي أَطَّلِعُ إِلَى إِلَهِ مُوسَى وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ مِنَ الْكَاذِبِينَ (38)
অর্থঃ ফেরাউন বললো, হে আমার পরিষদরা, আমিতো জানিনা আমি ছাড়া তোমাদের আরও কোন মাবুদ আছে (অতঃপর সে হামানকে বলল), হে হামান (যাও), আমার জন্য (ইট তৈরির জন্যে) মাটি আগুনে পোড়াও, অতপর তা দিয়ে আমার জন্যে একটি সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মান কর, যেন আমি (তাতে উঠে) মুসার মাবুদকে দেখে নিতে পারি, আমি অবশ্য তাকে মিথ্যাই মনে করি।
And Pharaoh said to his people: “I have not known a god for you other than myself; so Haman, light me a fire to bake clay so that I could build a rise high enough, maybe I see Moses’ god whom I think is a liar.”
আধুনিক পুরাতত্ত্ব গবেষকরা মিসরীয় চিত্রলীপি থেকে হামান সম্পর্কে সঠিক তথ্য বের করতে সক্ষম হয়েছেন। কোরআন অনুযায়ী হামান ছিল মিশরীয় এবং সে বড় বড় দালান কোঠা নির্মানের কাজের সাথে যুক্ত ছিল।
আধুনিক পুরাতত্ত্ব গবেষকরা মিসরীয় চিত্রলীপিতে হামানের নাম খুঁজে পেয়েছে। এবং চিত্রলীপি থেকে জানা যায় হামান পাথরের খনির কর্মীদের প্রধান ছিল। কিন্তু বাইবেল আনুযায়ী হামান ছিল রাজার উপদেষ্টা।
মিসরীয় চিত্রলীপির দুই যায়গায় হামান এর নাম পাওয়া যায়। ঐ চিত্রলীপিতে তাকে ‘পাথর রাজমিস্ত্রিদের তত্ত্বাবধায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় যে, হামান ছিল মিসরীয় এবং সে বড় বড় দালান কোঠা নির্মানের কাজের সাথে যুক্ত ছিল। কিন্তু বাইবেল বলে হামান ছিল রাজার উপদেষ্টা।