টেকটোনিক প্লেট (Tectonics)

Tectonic Plate

টেকটোনিক প্লেট (Tectonics)

পৃথিবীর উপরিভাগের যে ভুত্বকের স্তর তা হাজার হাজার বছর ধরে অত্যন্ত ধীর গতিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছে। শুধুমাত্র পাহাড় পর্বত গুলোই ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে না, বরং, মহাদেশগুলোও একইভাবে সরে যাচ্ছে। এ কারণেই হাজার বছরের পরিক্রমায় মহাদেশগুলোর মানচিত্রেও পরিবর্তন আসে। কিন্তু প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতির। পৃথিবীর উপরের ভূত্বক অনেকগুলো প্লেটের মত একটি আর একটির সাথে লেগে থেকে সম্পুর্ন পৃথিবীকে মুড়িয়ে রেখেছে। ভূত্বক সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি তত্ত্ব প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে টেকটোনিক প্লেটের তত্ত্বই বিজ্ঞানী মহলে বেশি গ্রহনযোগ্য ও প্রচলিত। পাহাড় পর্বতের এই নড়াচড়া সম্পর্কে কোরআনে (২৭:৮৮) উল্লেখ করা হয়েছে।

٨٨  وَتَرَى الْجِبَالَ تَحْسَبُهَا جَامِدَةً وَهِيَ تَمُرُّ مَرَّ السَّحَابِ ۚ صُنْعَ اللَّهِ الَّذِي أَتْقَنَ كُلَّ شَيْءٍ ۚ إِنَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَفْعَلُونَ

অর্থঃ হে মানুষ আজ তুমি পাহাড়কে দেখতে পাচ্ছ, তুমি মনে করে নিয়েছ তা অনড় হয়ে দাড়িয়ে আছে; কিন্তু কিয়ামতের দিন এ পাহাড়গুলো মেঘের মতই উড়তে থাকবে, এটা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির শৈল্পিক নিপুণতা, যিনি প্রতিটি জিনিষ মজবুত করে বানিয়ে রেখেছেন, তোমরা যা কিছু করছ অবশ্যই আল্লাহ সেসব ব্যাপারে সম্যক অবগত আছেন।

You see the mountains and think they are firmly fixed: but they are moving away just like the clouds are moving away: (such is) the artistry of Allah, Who disposes of all things in perfect order: for He knows all what you do.

কেয়ামতের সময় পাহাড়গুলো মেঘের মত কিভাবে উড়বে তা কল্পনা করা যায়না কিন্তু পাহাড়গুলো যে অত্যন্ত ধীর গতিতে হাজার বছরের পরিক্রমায় নড়ছে তা আমরা এখন জানতে পেরেছি। সবগুলো টেকটোনিক প্লেট এক সাথে লেগে থেকে তা পৃথিবীর ভিতরের গলিত লাভার উপর ভাসছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে ধারনা করলেন পাহাড় পর্বতগুলোও নড়াচড়া করতে পারে টেকটোনিক প্লেটের সাথে সাথে এবং তা কেয়ামতের সময় মেঘের মত উড়বে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published.