জনসংযোগ (Networking)

Connecting

জনসংযোগ (Networking)

সৎসঙ্গে স্বর্গবাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। অসৎ সঙ্গের কারণে অনেক সময় ভাল মানুষ ও খারাপ হয়ে যায়। আবার অন্যদিকে ভাল পরিবেশ পেলে একজন খারাপ মানুষও ভাল হয়ে যায়। সাধারণত মানব শিশুর উপর দুই ধরণের প্রভাব পরে যার আদলে সে বড় হয়ে উঠে। একটি হল পিতামাতার জিনগত প্রভাব এবং অন্যটি হল পরিবেশের প্রভাব। জিনগত প্রভাব হল জন্মগত আর এই প্রভাবের কারনেই শিশু পিতামাতার মত দেখতে হয়। পিতামাতার কোন অসুখ থাকলে শিশুর মধ্যেও সেই অসুখের বিস্তার ঘটে। এই প্রভাব হল শারীরিক। আর অন্য প্রভাবটি হল পরিবেশগত। অর্থ্যাৎ, পিতামাতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদির প্রভাব। গবেষণায় দেখা গেছে, পিতামাতা ভয়ঙ্কর অপরাধী হলেও তাদের সন্তান সুন্দর পরিবেশে বড় হয়ে উঠলে সমাজে ভাল মানুষ হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এ ক্ষেত্রে পিতামাতার জিনগত বৈশিষ্ট্য সন্তানকে অপরাধী বানাতে পারেনা। আর এজন্যই বলা হয় মানুষ পরিবেশের ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কোরআনে এ সম্পর্কে (৮৯:২৯-৩০) বলা হয়েছে।

فَادْخُلِي فِي عِبَادِي (29) وَادْخُلِي جَنَّتِي (30)

অর্থঃ অতপর তুমি আমার বান্দাদের দলে সামিল হয়ে যাও। আর প্রবেশ কর আমার অনন্ত জান্নাতে।

“And enter among my (pious) servants. And enter my paradise.”

উপরের আয়াতেও আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর ভাল বান্দাদের সাথে মেলামেশা করতে বলেছেন। আর ঠিক পরবর্তী আয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। অর্থ্যাৎ, সৎসঙ্গের ফলাফল হল জান্নাত। কর্পোরেট জগতেও সৎসঙ্গ, ভাল ব্যবহার এবং শুদ্ধাচারের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। অন্যথায়, প্রতিষ্ঠানে আচরণ ও ব্যবহার জনিত বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পরে। শুধু প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয় বরং জাতীয়ভাবেও শুদ্ধাচার নীতি পালন করা হয়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন সমাজবিজ্ঞানী ছিলেন যিনি সমাজের মানুষদের আচরণের উপর গবেষনা করে সৎসঙ্গে গ্রহনের উপদেশ দিয়ে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published.